খোন্দকার কাওছার হোসেন : একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন দোড়গোরায় হলেও এতে অংশ নেয়া নিয়ে বিএনপিতে দুইটি পক্ষ বিরাজ করছে। একপক্ষ যেকোন পরিস্থিতিতে নির্বাচনে যাওয়ার পক্ষে অন্য পক্ষ নির্বাচন বর্জন করে রাজপথের আন্দোলনে নামার পক্ষে। দুই পক্ষের এমন অবিচল অবস্থানের কারণে দলটির মধ্যে সমন্ময়হীনতা স্পষ্ট হয়ে ওঠছে। এতে জড়িয়ে পরছেন খোদ হাইকমান্ড থেকে শুরু করে মধ্যম ও তৃণমুলের নেতাকর্মীরা পর্যন্ত। অচিরেই বিষয়টি স্পষ্ট হয়ে ওঠবে বলে আভাস পাওয়া গেছে।
দলটির যে অংশটি নির্বাচনে যাওয়ার পক্ষে অবস্থান নিয়েছে তাদের যুক্তি হলো, খালেদা জিয়ার মুক্তি, বিএনপির নিবন্ধন রক্ষা, লাখ লাখ নেতাকর্মীদের হামলা মামলা থেকে বাঁচাতে নির্বাচনে অংশ নেয়ার কোনো বিকল্প নেই। অন্য পক্ষ্যের যুক্তি সরকার আবারো একতরফা নির্বাচনের দিকে হাটছে, এ নির্বাচনে অংশ নিয়ে আওয়ামী লীগকে আরো একবার ক্ষমতায় যাওয়ার সুযোগ বিএনপি তৈরি করে দিতে পারে না। এ কারণে সরকারের বিরুদ্ধে আন্দোলনে নামতে হবে। আন্দোলনের মাধ্যমেই এবার সরকারের পতন ঘটানো সম্ভব। ২০১৪ সাল আর ২০১৮ এক না। ইচ্ছা করলেই সরকার একতরফা নির্বাচন করতে পারবে না। জনগণ মানবে না। বিদেশী উন্নয়ন সহযোগী ও মিত্ররা সহজভাবে নেবে না।
যে কোন পরিস্থিতিতে নির্বাচনে যাওয়ার পক্ষে অবস্থান নিয়েছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর,স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার মওদুদ আহমেদ, লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মাহাবুবুর রহমান,ব্যারিস্টার রফিকুল ইসলাম মিয়া, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরীসহ দলটির মধ্যম ও তৃনমুলের নেতাকর্মীদের একটি বিরাট অংশ। তাদের এ অবস্থানকে সমর্থন করেছেন দলীয় চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। তিনি আর কোন নির্বাচন বর্জনের পক্ষে নন কারাগার থেকে এমন মতামত দলটির নেতাদের জানিয়েছেন।
নির্বাচনের পক্ষে অবস্থান নেয়া দলীয় নেতারা খালেদা জিয়াকে বোঝাতে সক্ষম হয়েছেন,সরকার আবারো একতরফা নির্বাচনের নীল নকসা করছেন। নীল নকসার অংশ হিসেবেই খালেদা জিয়াকে কারাগারে আটকে রেখেছেন, বারবার জামিন পেয়েও তাকে কারামুক্ত করা যাচ্ছে না। বিএনপি যাতে খালেদা জিয়াকে মুক্তি দেয়া না হলে নির্বাচন করবো না এমন গো ধরে নির্বাচন বর্জনের পথ বেছে নেয়। বিএনপি যদি সরকারের পাতা এমন ফাঁদে পা দেয় তবে বিএনপির আম ছালা দুটোই যাবে। নির্বাচনে অংশ না নিয়ে ছিটকে পড়বে সংসদ ও রাজনীতির ময়দান থেকে। পাশাপাশি খালেদা জিয়ার কারামুক্তিও হবে না। এমনকি সরকারি প্রভাব খাটিয়ে নির্বাচন কমিশন থেকে বিএনপির নিবন্ধন বাতিল করবে। দলটির নেতাকর্মীদের হামলা মামলায় জর্জরিত করা হবে। দল ভাঙতে সরকার প্ররোচনা দেবে।
এর চেয়ে নির্বাচনে অংশ নিয়ে খালেদা জিয়ার মুক্তি, তারেক রহমানের মামলা প্রত্যাহার, স্বদেশ প্রত্যাবর্তন বিষয়ে সরকারকে চাপে রাখা যাবে। যদি গণেশ উল্টে নিজেদের ক্ষমতায় আসার পথ তৈরি হয় তাহলে তো পোয়া বারো। খালেদা জিয়ার মুক্তি, তারেক রহমানের দেশে ফেরা ওয়ান টু হয়ে যাবে। নির্বাচনের পক্ষে অবস্থান নেয়া নেতাদের এমন যুক্তিও পরামর্শ খালেদা জিয়া মেনে নিয়েছেন বলেও তথ্য দিয়েছে দলীয় সুত্র।
অন্যদিকে ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, মির্জা আব্বাস, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, নজরুল ইসলাম খানসহ মধ্যম ও তৃনমুলের আরেকটি বড় অংশ খালেদা জিয়ার মুক্তি, নিরপেক্ষ সরকার প্রতিষ্ঠা ছাড়া বিএনপির পক্ষ থেকে যে ৭ দফা দাবি ঘোষণা করা হয়েছে তার একটি দফা পূরণ বাকি থাকা পর্যন্ত নির্বাচনে না যাওয়ার পক্ষে অবস্থান নিয়েছে। তাদের বিশ্বাস নির্বাচন দোড়গোড়ায় হলেও সরকার নির্বাচন পিছিয়ে নেয়া কিংবা পন্ড করার উপায় খুঁছছে। এজন্য সরকার আদালতের ঘাড়ে সওয়ার হতে পারে। কিংবা প্রাকৃতিক দুর্যোগ অথবা অন্য কোন বিকল্প শক্তির সহায়তা নিতে পারে। যা বিএনপির জন্য বিপর্যয় হবে। এবং খালেদা জিয়াকে কারাগারে, তারেক রহমানকে বিদেশেই থাকতে হবে।
অবশ্য নির্বাচন বর্জনকারিদের পক্ষ নিয়েছেন ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। তিনি লন্ডন থেকে ইতোমধ্যেই নেতাদের আন্দোলনের জন্য প্রস্তুত হওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন। সারাদেশের নেতাকর্মীদের সঙ্গে তিনি যোগাযোগ রক্ষা করে চলেছেন। নেতাকর্মীদের বলছেন ডাক আসা মাত্র ঝাঁপিয়ে পড়তে হবে। নেতাকর্মীদের তিনি মুলমন্ত্র শেখাচ্ছেন ‘যদি তুমি ভয় পাও তবে তুমি শেষ, যদি তুমি এগিয়ে যাও তবে তুমি বাংলাদেশ। তাই সরকারকে সুযোগ না দিয়ে পর্যায়ক্রমে ধাপে ধাপে কঠোর থেকে কঠোর কর্মসূচি দিয়ে সরকারের পতন নিশ্চিত করতে হবে। তাদের বিশ্বাস সরকার এখন বালির বাধের ওপর অবস্থান করছে, জোরে একটি ধাক্কা দিতে পারলে হুড়মুড়িয়ে পড়ে যাবে।
দলের অভ্যন্তরে নেতাদের এমন পরষ্পর বিরোধী অবস্থান ক্রমশ স্পষ্ট হচ্ছে যা দলটিকে আবারো একটি ভাঙনের দিকে নিয়ে যেতে পারে বলে দলটির নেতাকর্মীদের মধ্যে আশংকা তৈরি হচ্ছে।
এ বিষয়ে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেন, জনগন ঐক্যবদ্ধ হয়েছে, অনেক রাজনৈতিক দল ও ব্যক্তি ঐক্যবদ্ধ হয়ে জাতীয় ঐক্যমত সৃষ্টি হয়েছে এই সরকারের পতন ঘটানোর জন্য। আন্দোলনের মাধ্যমেই খালেদা জিয়াকে মুক্ত করতে হবে। খালেদা জিয়ার মুক্তি ছাড়া কোন নির্বাচনে বিএনপি যাবে না।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির অপর সদস্য ব্যারিস্টার মওদুদ আহমেদ বলেন, মুক্ত খালেদা জিয়ার চেয়ে বন্দী খালেদা জিয়া, অনেক বেশী শক্তিশালী। তিনি এখন নেতাকর্মীসহ দেশবাসীর ‘মা’য়ে পরিনত হয়েছেন। তার মুক্তির জন্য আন্দোলনের পাশাপাশি ম্যান্ডেট হবে ব্যালট। নির্বাচনের মাধ্যমে আওয়ামী লীগকে পরাজিত করার জন্য বিএনপি প্রস্তুতি নিচ্ছে। দেশবাসী ধানের শীষে ভোট দেয়ার জন্য উন্মুখ হয়ে আছে।
স্থায়ী কমিটির অপর সদস্য নজরুল ইসলাম খান বলেন, আমরা বলছি, আমরা নির্বাচন চাই। বিএনপি নির্বাচনমুখী দল। নির্বাচনের মাধ্যমে রাষ্ট্রক্ষমতা পরিবর্তন হবে সেটাই আমরা বিশ্বাস করি। যদি নির্বাচনী প্রহসন হয় কিংবা নির্বাচনী খেলা হয় আমরা সেখানে যোগদান করতে আগ্রহী না।
Levitra Da Sciogliere In Bocca buy viagra Purchase Isotretinoin Price In Internet Canadian Pharmacy Drugs Online viagra Commander Kamagra En Ligne
Purchase Dyazide Online Achat Kamagra Securise cialis viagra levitra kaufen rezeptfrei Viagra Cialis Healthyman Com
Tetracycline Vendors Comme Le Kamagra Propecia Naturale viagra Generikum Cialis Amoxicillin For Sick Macaw